জামালপুরে চাঞ্চল্যকর ইজিবাইকচালক বুলবুল
হোসেন
(২৬)
হত্যাকান্ডের একমাস
পর
জামালপুর রেলওয়ে
থানা
পুলিশ
তিন
যুবককে
মঙ্গলবার ভোররাতে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা
বুলবুল
হোসেনকে খুন
করে
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা
স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার যুবকেরা হলো
জামালপুর পৌর
এলাকার
হরিপুর
গ্রামের সাইফুল
ইসলামের ছেলে
মিনহাজ
উদ্দিন
ও
মো.
রফিকের
ছেলে
মো.
রাসেল
এবং
ছনকান্দা গ্রামের রাজু
আকন্দের ছেলে
বাবু
আকন্দ। তাদের
প্রত্যেকের বয়স
১৯
বছর।
মামলা
সূত্রে
জানা
গেছে,
নিহত
ইজিবাইক চালক
বুলবুল
হোসেন
ময়মনসিংহ জেলার
মুক্তাগাছা উপজেলার বিন্নাকুড়ি গ্রামের আবুল
কাশেমের ছেলে।
ছোট
থেকেই
তিনি
জামালপুর পৌর
এলাকার
ছনকান্দা গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী মো.
মোস্তফা আলমের
বাড়িতে
কাজের
লোক
হিসেবে
থাকতেন। বাড়ির
মালিক
তাকে
খুব
আদর
স্নেহ
করতেন
এবং
তার
বাড়ির
আরেক
কাজের
মেয়ে
কোহিনূর বেগমকে
বুলবুলের কাছে
বিয়ে
দেন।
বিয়ের
পর
ওই
বাড়িতেই তাদের
জন্য
আলাদা
ঘর
তুলে
দেন।
নিহত
বুলবুলের দেড়
বছরের
এক
মেয়ে
রয়েছে।
বুলবুল
হোসেন
একটি
নতুন
ইজিবাইক কিনে
তার
চালিয়ে
জীবিকা
নির্বাহ করে
আসছিলেন। মিনহাজ
উদ্দিন,
বাবু
আকন্দ
ও
মো.
রাসেলসহ কয়েকজন
যুবক
নান্দিনায় যাওয়ার
কথা
বলে
সদর
উপজেলার শরিফপুর বাজার
থেকে
বুলবুল
হোসেনের ইজিবাইক ভাড়া
করে।
পথে
তারা
শরিফপুর ইউনিয়নের জয়রামপুরে ইজিবাইক থামিয়ে
মিনহাজ
ও
তার
সহযোগীরা বুলবুল
হোসেনকে ধারালো
অস্ত্র
দিয়ে
শরীরের
বিভিন্ন স্থানে
আঘাত
করে
খুন
করে
রেললাইনের পাশে
ফেলে
রেখে
যায়।
ওই
রাতেই
জামালপুর রেলওয়ে
থানা
পুলিশ
তার
লাশ
উদ্ধার
করে।
নৃশংস
এই
খুনের
ঘটনায়
নিহত
বুলবুলের বাবা
আবুল
কাশেম
বাদী
হয়ে
অজ্ঞাত
আসামি
উল্লেখ
করে
রেলওয়ে
থানায়
একটি
হত্যা
মামলা
দায়ের
করেন।
মামলাটির তদন্ত
কর্মকর্তা জামালপুর রেলওয়ে
থানার
উপপরিদর্শক (এসআই)
মো.
আকবর
হোসেন
জানান,
গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে মিনহাজ
উদ্দিনসহ তিন
যুবককে
গ্রেপ্তারের পর
জিজ্ঞাসাবাদে তারা
বুলবুল
হোসেনকে হত্যার
দায়
স্বীকার করেছে।
ওই
তিন
যুবককে
আসামিভুক্ত করে
তাদের
জামালপুর চীফ
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলা
হাজতে
পাঠানো
হয়েছে।
ওই
ঘটনার
সাথে
জড়িত
আরও
কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা
চলছে।
তিনি
আরও
জানান,
ছিনতাই
করা
ইজিবাইকটির কোনো
সন্ধান
পাওয়া
যায়নি।
তবে
গ্রেপ্তার ওই
যুবকেরা ইজিবাইকটি শেরপুরে মাত্র
৩৬
হাজার
টাকায়
বিক্রি
করে
দিয়েছে
বলে
স্বীকার করেছে।
No comments:
Post a Comment