আর এবারই প্রথম অল-ইউরোপিয়ান সেমিফাইনাল দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব। অর্থাৎ সেমিফাইনালে টিকে থাকা চারটি দলই ইউরোপের। ব্রাজিলই ছিল শেষ ল্যাটিন প্রতিনিধি।শুক্রবারই কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নেয় উরুগুয়ে।
এই ম্যাচে গেমচেঞ্জার হিসেবে যাঁদের দিকে নজর ছিল সেই কেভিন ডি ব্রুয়েন এদিন সত্যিই বাজিমাত করেন ৷ ৩১ মিনিটে বেলজিয়ামের হয়ে স্কোরলাইন ২-০ করে দেন তিনি ৷ রোমেলু লুকাকু-র লম্বা বল নিয়ে দৌড়ে গোলের ঠিক সামনে থাকা ব্রুয়েনকে পাস দেন ৷ কোনও ভুল না করে এদিন তিনি গোলে বল পাঠিয়ে দেন ৷ এদিকে ২-০ গোলে পিছিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ খেলতে নামা ব্রাজিল যেন এক অন্য দল ৷ একের পর আক্রমণে ছিন্নভিন্ন করে দিতে থাকেন বেলজিয়াম রক্ষণকে ৷ নেইমার-কুটিনহো মরিয়া চেষ্টায় একের পর এক গোলমুখী প্রয়াস চালিয়ে যেতে থাকেন ৷ কিন্তু বেলজিয়াম গোলরক্ষক কুর্তোয়া- ওবেলজিয়ামের ডিফেন্স যেন নিজের সব কিছু বাজি রেখে খেলছিল ৷ আর তাই কোনও অবস্থাতেই গোল খাবেন না এভাবে আটকাচ্ছিলেন সাম্বা বাহিনীকে ৷
তবে ৭৬ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নামা ফিলিপে আগাস্তো শরীরকে উঁচুতে ভাসিয়ে হেডে গোল করে ব্যবধান কমান ৷ কুটিনহো -র বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে দেন এই তরুণ ৷ এরপর নিজেদের এক গোলের লিড বাড়িয়ে রাখতে ডিফেন্সে লোক বাড়ায় বেলজিয়ান রেড ডেভিলসরা ৷ একটা সময় একমাত্র লুকাকু ছাড়া প্রত্যেকেই ডিফেন্স করছিলেন ৷
বড় মঞ্চে একের পর এক এনকাউন্টারে বেলজিয়াম চাপ ধরে রাখতে পারেনি, কিন্তু এদিনের অ্যাসিড টেস্টে সেই নার্ভের লড়াইতে পাস করল বেলজিয়াম ৷ অন্যদিকে এবারের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের আগে ১ টি মাত্র গোল হজম করেছিল ব্রাজিল ৷ সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেটপিস থেকে একটিমাত্র গোল হজম করেছিল তারা ৷ এদিন অবশ্য প্রথমার্ধ দু‘গোল খেয়ে যায় নেইমার এন্ড কোম্পানি ৷
কেভিন ডি ব্রুয়েন, কুর্তোয়াস, হ্যাজার্ড, লুকাকুদের মুখে তখন হাজার ওয়াটের আলো ৷ সাম্বা-র বিরুদ্ধে মেগা ম্যাচে নিজেদের চোকার্স তকমা ঝেড়ে ফেলে বিশ্বকাপে প্রথমবারের জন্য সেমিফাইনালে তারা ৷ সেমিতে তাদের সামনে ফ্রান্স ৷
তবে আর্জেন্টিনার পর ব্রাজিলের বিদায়ে বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের অধিকাংশের কাছেই আকর্ষণ হারিয়ে ফেললো এবারের বিশ্বকাপ।
No comments:
Post a Comment