স্ত্রীকে হত্যার পর ‘করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা |
মুন্নির ভাই সুমন হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তিন মাস আগে তার বোনের সঙ্গে সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীদাড়ি দাসপাড়ার রিপনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ টাকা ও সোনার গহনাসহ প্রায় এক লাখ টাকার যৌতুক দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মুন্নির ওপর প্রায়ই নির্যাতন চালানো হতো।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিপন তার শাশুড়িকে ফোন করে জানায় যে তার মেয়েকে না নিয়ে গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে। ওই রাতে রিপন তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে তার ধারণা। এরপর তারা তার লাশ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে প্রচার দিয়ে দ্রুত মাটি দেয়ার চেষ্টা চালায়।নিহতের নাম মেহেনাজ পারভিন মুন্নি (১৯)। তিনি ওই গ্রামের রিপন হোসেনের স্ত্রী ও দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের মুকুল হোসেনের মেয়ে।
এমন সময় স্থানীয় লোকজন দ্রুত এসে রিপনসহ তার পরিবারের সদস্যদের আটক করে একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে কৌশলে ঘরের জানালা ভেঙে রিপনসহ তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহতের দাদা আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে স্বামী রিপন, তার মা, বোন ও ভগ্নিপতিসহ ৭ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে নিহত ওই গৃহবধূর স্বামী রিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment