নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার দুর্গম চরে মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে ধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার গভীর রাতে মেয়েটির পিতা কলিম উদ্দিন বাদী হয়ে ডিমলা থানায় ৯জনকে আসামী করে মামলা নং-(১৩) দায়ের করেন। নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষায় মেয়েটির ধর্ষনের আলামত পাওয়া যায় মর্মে নিশ্চিত করেন গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সুলতানা রাজিয়া। বর্তমানে নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালে ৬নং ওয়ার্ডে পুলিশ পাহাড়ার ধর্ষিত ফেন্সির চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গত রোববার ভোরে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নর দুর্গম চর পশ্চিম ছাতুনামায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মাকে বাড়ীর উঠানে বেঁধে রেখে ৩ সন্তানের জননী ও মেয়ে ফেন্সি কে জোরপুর্বক তুলে নির্জন স্থানে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনার দিন পশ্চিম ছাতুনামা গ্রামের মেয়েটির বাড়ী থেকে ১ কিলোমিটার দুরে মুমুর্ষ অবস্থায় হাত পা বাধা অবস্থায় ফেন্সি বেগম (২৭) ও জামাতা রফিকুল ইসলামের বাড়ির উঠানে রশি দিয়ে বাধা অবস্থায় মা ফাতেমা বেগমকে উদ্ধার করে পুলিশ। ফেন্সি বেগম ওই গ্রামের কলিম উদ্দিনের কন্যা ও একই এলাকার রশিদুল ইসলামর স্ত্রী।
ঘটনার দিন ভোরে ফেন্সি বেগমকে বাড়ী থেকে জোড়পুর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মা ফাতেমা বেগম (৬০)কে জামাতার বাড়ীর উঠানে মুখে কাপর ও হাত দুটোয় রশি দিয়ে খুটিতে বেঁধে রাখে। মাকে উঠানে বেঁধে রেখে বাড়ীর ১কিলোমিটার পূর্ব দিকে ফেন্সিকে নির্জন এলাক্রা নিয়ে একই এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র আব্দুর রহিম (৩০) ধর্ষন করেন।এ সময়ে ধর্ষককে সহযোগীতা করে মামলার অন্যানা আসামীরা ।যারা হলেন ছাতুনামা গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র দেলওয়ার (৩৮), মিষ্টার (৩৪), মৃত আইজুল হকের পালিত পুত্র ফিরিজুল (৩৫), ছাটি মামুদের পুত্র নুর মোহাম্মদ (৪৫), মোখলেছার রহমানের পুত্র ফরিদুল ইসলাম (৩৫), আলমগীর হোসেন (৩০), অভয় চরন রায়ের পুত্র নির্মল চন্দ্র (৪০), পেন কাটুর পুত্র মঙ্গলু (৪০)।
মামলার বাদী কলিম উদ্দিন বলেন, আমার জামাতা রশিদুল ইসলাম বাড়ীতে না থাকায় আমার স্ত্রী ফাতেমা বেগম, মেয়ে ফেন্সিসহ আমার নাতনী রেখা (৭), পারভীন (৩) ও নাতি সবুজ (৫) সহ জামাই বাড়ীতে বসবাস করত। রোববার ভোরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামলার আসামীরা আমার মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে তাকে হাত পা বেঁধে কাধে করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা আমার স্ত্রীকে জামাতার বাড়ীর উঠানে রশি দিয়ে বেধে রাখে। আমার নাতনী রেখা আক্তারের আতœচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন। ডিমলা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী শাহাবুদ্দিন বলেন, ফেন্সি পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ৯জনকে আসামী করে মামলা দায়েরের পর আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
No comments:
Post a Comment