রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জনমত যখন তুঙ্গে তখন চাল আনতে দেশটিতে যাওয়ার বিষয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে এর জবাব দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়েই মিয়ানমার গিয়েছিলেন। এটাও কূটনৈতিক তৎপরতার একটি অংশ।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গত ৬ সেপ্টেম্বর খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মিয়ানমার যায়। দলটি মিয়ানমার থেকে বছরে ১০ লাখ টন চাল আমদানির ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে। পাশাপাশি দ্রুত দুই থেকে তিন লাখ টন চাল আমদানির চুক্তির ব্যাপারে কথা হয়। মন্ত্রীর নিজের খরচে তাঁর স্ত্রী তায়েবা ইসলামও সফরসঙ্গী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। এই খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিরোধী দলগুলো এই মুহূর্তে চাল আনতে মিয়ানমার যাওয়ার কড়া সমালোচনা করে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্কে যখন টানাপোড়েন চলছে এই মুহূর্তে চাল আনতে মিয়ানমার যাওয়া উচিত হয়েছে কি?-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিসাপেক্ষেই গিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালু থাকে।’
মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির ব্যাপারে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, শুধু মিয়ানমার নয়, কম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সরকার চাল আমদানি করছে। এটা সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার একটি অংশ।
খাদ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু মিল মালিক চালের দাম নিয়ে চালবাজি করছেন। তারা চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে চালের দাম বাড়াচ্ছেন।
মন্ত্রী জানান, আগামী মঙ্গলবার তিনি মিল মালিকদের সঙ্গে বসছেন। সেই বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও থাকবেন। সেখানে বড় বড় মিল মালিকদের ডাকা হবে। সেখান থেকে চালের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণের কার্যকরী ব্যবস্থা আসবে বলে মনে করেন মন্ত্রী।
কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের চালের কোনো সংকট নেই। বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন কিছু ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিতও দেন মন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী জানান, আগামী রবিবার থেকে আবার ১০ টাকা কেজি দরে আবার চাল দেয়া শুরু হবে।
No comments:
Post a Comment