বুধবার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রভাবশালী মহলের চাপে খুনিদের আড়াল করতে মিন্নিকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির কাছে রিফাত হত্যা মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করছি।”
গত ২৬ জুন রিফাতকে প্রকাশ্য সড়কে কুপিয়ে হত্যার সময় স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নির চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে আলোচনার জন্ম দেয়।
পরদিন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয় মিন্নিকে।
পরে মিন্নির শ্বশুর তার ছেলের হত্যাকাণ্ডে পত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ করলে আলোচনা নতুন দিকে মোড় নেয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্নিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় পুলিশ। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাকে গ্রেপ্তার দেখায়।
পরে মিন্নি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
মিন্নির বাবার অভিযোগ, নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছে পুলিশ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক হুমায়ূন কবীর বলেন, “মিন্নি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।”
এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে এখনও চার জন গ্রেপ্তার হয়নি।
No comments:
Post a Comment