ছেলেধরা গুজবে রেনুকে পিটিয়ে হত্যা, যা বললো সেই হৃদয় - Dot Tv News | Latest Bangladeshi News | Breaking News | Bangla Online News | আজকের সর্বশেষ খবর

সর্বশেষ

Home Top Ad

Post Top Ad


Thursday, July 25, 2019

ছেলেধরা গুজবে রেনুকে পিটিয়ে হত্যা, যা বললো সেই হৃদয়

রাজধানীর বাড্ডায় ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে তাছলিমা বেগম রেনু নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি হৃদয় প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।



বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।
আব্দুল বাতেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় জানিয়েছে ঘটনার দিন রেনু স্কুলে প্রবেশ করার সময় গেটে থাকা অন্য এক নারী অভিভাবক তার পরিচয় এবং বাসার ঠিকানা জানতে চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেনু ওই নারীকে তার নাম-ঠিকানা জানান। সে সময় ওই নারী রেনুকে দেখিয়ে ছেলেধরা বলে চিৎকার করেন।



তিনি বলেন, এর মধ্যে রেনুকে স্কুলের একটি কক্ষে বন্দি করা হয়। ছেলেধরার খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু কাছে বাজার তাই মুহূর্তে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়। এদের মধ্যে উৎসুক কিছু জনতা স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করে রেনুকে বের করে পিটুনি দেয়। হৃদয়ও তাদের সঙ্গে অংশ নেয়। হৃদয় স্কুলের পাশেই একটি দোকানে সবজি বিক্রি করতো। সবজি বিক্রি শেষে সে স্কুলের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। রেনুকে স্কুলে প্রবেশ করতে দেখেছিল সে।
আব্দুল বাতেন বলেন, ঘটনার পর সে (হৃদয়) যখন বুঝতে পারলো পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে তখন নারায়ণগঞ্জে পালিয়ে যায়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেনু এবং ওই নারী পূর্ব পরিচিত কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। ঘটনাটি পরিকল্পিত কিনা তা ওই নারীকে জিজ্ঞাবাদের পর বলা যাবে। কারণ রেনুকে দেখে তিনিই প্রথম ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার করেছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ভূলতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে ডিবি পূর্ব বিভাগ।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই সকাল পৌনে সাড়ে ৮টার দিকে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার সড়কে ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নারী উত্তর বাড্ডায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages