জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর ও একজন নারীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে সর্বমহলে বেশ তোলপাড় ও ধিক্কারের ঝড় উঠেছে।
ভিডিওটি বানানো বলে দাবি করেছেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর।
৪ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে যে কক্ষটি দেখা যায়, সেটি জামালপুরের
জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের অফিস কক্ষে তার চেয়ারের ঠিক ডান পাশের ছোট একটি
কক্ষ। ছোট এই কক্ষে একটি ছোট খাট বসানো হয়েছে। ভিডিওটিতে যে পুরুষকে দেখা
যায়, তিনি জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর বলে দাবি করা হচ্ছে। আর যে নারীকে দেখা
যাচ্ছে তিনি এই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমেই সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া একই অফিসের
একজন এমএলএসএস বা পিয়ন।
জানা গেছে, জেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ পদধারী
এই সরকারি কর্মকর্তা তার অফিসেই একজন নারীর সাথে অবৈধ মেলামেশার এই
ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘খন্দকার সোহেল আহমেদ’ নামের একটি
পেজ থেকে আপলোড হয় গত ১৫ আগস্ট বিকেলের দিকে। ফেসবুক আইডি থেকে এটি ভাইরাল
হয়ে যাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ব্যাপকহারে নজরে আসতে থাকে ফেসবুক
আইডি ব্যবহারকারীদের কাছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল তোলপাড়
এবং ধিক্কারের ঝড় ওঠে।
গত শুক্রবার ভোররাত থেকে রহস্যজনক কারণে ওই
আইডির ওয়াল থেকে ভিডিও লিঙ্কটি সরিয়ে নেওয়ায় সন্দেহ আরো দানা বেঁধে
উঠেছে।নিজ অফিস কক্ষে একজন নারীর সাথে জেলা প্রশাসকের অবৈধ মেলামেশার এই
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় বিভিন্ন সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাব্যক্তিদেরও এ
নিয়ে বেশ তৎপর থাকতে দেখা যাচ্ছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক
আহমেদ কবীর জামালপুরে যোগদান করেছেন ২০১৭ সালের ২৭ মে। যোগদানের কিছুদিন পর
থেকেই তিনি তার অফিসের কক্ষের পাশে ছোট্ট একটি কক্ষে ধূমপান ও ব্যক্তিগত
সরকারি গোপনীয় বৈঠকের জন্য কক্ষটি ব্যবহার করে আসছেন। সম্প্রতি ওই কক্ষে
বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি খাট বসানো হয়েছে।তাতে বিশ্রাম নেওয়ার মতো বালিশ,
চাদর সবকিছুই আছে। সম্প্রতি ওই কক্ষে একাধিক নারীর যাতায়াতকে কেন্দ্র করে
গোটা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে
নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেখানে একজন নারীর সাথে জেলা
প্রশাসক আহমেদ কবীরের অবৈধ মেলামেশার ভিডিওটি ফেসবুকে, ফেসবুক থেকে ডাউনলোড
করে মেসেঞ্জারে, মোবাইল থেকে মোবাইলে এবং ইমেইেলে ছড়িয়ে পড়ায় আগে শোনা সেই
গুঞ্জন শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করছেন অনেকে।
গত শুক্রবার দুপুরে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর বলেন, ভিডিওটি আমি
দেখেছি। ওটি আসলে বানানো একটি ভিডিও। খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের ফেসবুকের
একটি ফেক আইডি থেকে ওই ভিডিওটি আপলোড করে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি
করে আসছিল। আজকে ভোর থেকে ওই ভিডিওটি ওই আইডি থেকে সরিয়ে ফেলেছে। এর বেশি
কিছু তিনি বলতে রাজি হননি।
No comments:
Post a Comment