চীনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সীমান্ত বিরোধের অবসান চায় ভারত |
ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। লাদাখ
সীমান্তে দুই থেকে আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চীন। তবে বেইজিংয়ের সঙ্গে
শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে নয়াদিল্লি এ বিরোধের অবসান চায় বলে জানিয়েছে
দ্য হিন্দু। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লাদাখ ও সিকিমের সীমান্ত
পরিস্থিতির সমাধান নিয়ে দুই পক্ষেই কূটনীতিক ও সামরিক চ্যানেলগুলো
প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তভা জানান, শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য চীনের সঙ্গেই আমরা পুরোপুরি যুক্ত আছি।
তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায়
ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের সশস্ত্রবাহিনী আমাদের নেতাদের প্রদত্ত
নির্দেশনা সতর্কভাবে অনুসরণ করে। একই সঙ্গে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয়
সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ সংকল্পবদ্ধ।চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্যের একদিন পর ভারত তার এমন
প্রতিক্রিয়া জানাল। বেইজিং জানায়, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ স্থিতিশীল
এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
তবে চীনা বিবৃতি নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে চাননি ভারতীয় মুখপাত্র।
তিনি জানান, ১৯৯৩ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ভারত ও চীনের মধ্যে স্বাক্ষরিত
সীমান্ত ব্যবস্থাপনার পাঁচটি চুক্তি অনুসারে এই বিরোধের সমাধান করা হবে।
গত ৫ মে লাদাখে প্রায় আড়াই শ চীনা সৈনার সঙ্গে মারামারি হয় ভারতীয়
বাহিনীর। লোহার রড, লাঠি এমনকি ইটপাটকেল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয় দুইপক্ষের
মধ্যে। পরস্পরের বিরুদ্ধে সীমান্ত অতিক্রম করারও অভিযোগ।
এরপর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। উপগ্রহ চিত্রে
দেখা যায়, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে চীন প্রায় হাজার দশেক সেনা মোতায়েন করেছে।
তিব্বতের গারি গুনশা ঘাঁটিতে চলছে নির্মাণকাজ। সেখানে হাজির বেশ কিছু
যুদ্ধবিমানও। এমনকি ভারত থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ারও
প্রস্তাব দেয় চীন।
No comments:
Post a Comment