বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে
নির্বাচনে যাবে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে
না, হতে পারে না। যারা সামান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনেই ভোট চুরি করে
জিততে চায় তাদের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের মতো বৃহৎ দায়িত্ব কোনোভাবেই
নিরপেক্ষ হতে পারে না। তিনি বলেন, নির্বাচনে ইভিএম বাতিল ও সেনা মোতায়েন
করতে হবে।গতকাল বেলা পৌনে ২টায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়।
বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা
জিয়া। বেলা পৌনে ২টায় জনসভা শুরুর আগেই জনসভাস্থল কানায় কানায় ভরে যায়।
জনসভা অনেকটা নির্বাচনী সভায় রূপ নেয়। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের
সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন করেন। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্যের
আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হলে কোনো
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। হাসিনার অধীনে তো নির্বাচন হবেই না। আমরা বিশ্বাস করি মানুষ আমাদের শক্তি, জনগণ আমাদের শক্তি। জয় আমাদের হবেই
হবে। জনসভায় নেতা-কর্মীদের আসতে বাধা দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করে তিনি
বলেন, এই কাজ করে সরকার ছোট মনের পরিচয় দিয়েছে।
এত ছোট মন দিয়ে রাজনীতি ও
জনগণের সেবা করা যায় না। আমি আপনাদের চ্যালেঞ্জ করছি, আপনারা বাধা না দিয়ে
দুটি জায়গায় জনসভা দিতেন, একটা আপনাদের, আরেকটা আমাদের। দেখতেন কার
জনসভায় মানুষ আসে। কারণ মানুষ আমাদের ভয় নাই, তারা আমাদের ভালোবাসা, তারাই
আমাদের শক্তি। দীর্ঘ ১৯ মাস পর বেগম খালেদা জিয়ার এই জনসভায় নেতা-কর্মী ও
সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক-উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন
দেশে গুম খুন চলতেই থাকবে।
আমরা রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন চাই, ঐক্যের রাজনীতি করতে চাই।’ এসময় চলমান রোহিঙ্গা সমস্যাকে দেশের জাতীয় সমস্যা বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর এই জাতীয় সমস্যা মোকাবিলায় ‘ভোটারবিহীন এই অবৈধ সরকার’ চুপ থাকলেও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি জোর আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধান থেকে বিলুপ্তির পর এখন ভোটের সময় নির্বাচিত সরকারই ক্ষমতায় থাকার বিধান। নির্দলীয় সরকার না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি।এ সময় তিনি বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আগামীতে দেশের সব শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েকে চাকরির ব্যবস্থাসহ এক বছরের বেশি সময় যারা বেকার থাকবে- তাদের জন্য বেকার ভাতা চালু করারও প্রতিশ্রুতি দেন। শেয়ারবাজার ধসের প্রসঙ্গ তুলে বেগম জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এলেই শেয়ারবাজার লুট হয়। এর আগে কখনো শুনিনি সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের মানুষের টাকা আছে। আওয়ামী লীগ আসার পর ওই ব্যাংকে টাকা পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা। মানুষের রক্ত চুষে টাকা চুরি করে বিদেশে পাঠিয়েছে। ২০১৫ সালে পাঁচ হাজার কোটি ও গত ১০ বছরে সুইস ব্যাংকে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রতি পদে পদে দুর্নীতি করছে। দুদক কোনো মামলা বা কোনো তদন্ত করেনি। অথচ দুদক পড়ে আছে আমাদের পেছনে। তিনি আরও বলেন, ‘গত সাত বছরে ব্যাংক থেকে চুরি হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা কারসাজি করে পাচার করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো নিয়ে কোনো তদন্ত হয় না। কাউকে ধরা হয়নি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু ভোটারবিহীন সরকারের সমস্যা নয়, এটা আন্তর্জাতিক সমস্যা। তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইন্ডিয়া, চীনসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আমরা রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন চাই, ঐক্যের রাজনীতি করতে চাই।’ এসময় চলমান রোহিঙ্গা সমস্যাকে দেশের জাতীয় সমস্যা বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর এই জাতীয় সমস্যা মোকাবিলায় ‘ভোটারবিহীন এই অবৈধ সরকার’ চুপ থাকলেও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি জোর আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধান থেকে বিলুপ্তির পর এখন ভোটের সময় নির্বাচিত সরকারই ক্ষমতায় থাকার বিধান। নির্দলীয় সরকার না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি।এ সময় তিনি বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আগামীতে দেশের সব শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েকে চাকরির ব্যবস্থাসহ এক বছরের বেশি সময় যারা বেকার থাকবে- তাদের জন্য বেকার ভাতা চালু করারও প্রতিশ্রুতি দেন। শেয়ারবাজার ধসের প্রসঙ্গ তুলে বেগম জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এলেই শেয়ারবাজার লুট হয়। এর আগে কখনো শুনিনি সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের মানুষের টাকা আছে। আওয়ামী লীগ আসার পর ওই ব্যাংকে টাকা পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা। মানুষের রক্ত চুষে টাকা চুরি করে বিদেশে পাঠিয়েছে। ২০১৫ সালে পাঁচ হাজার কোটি ও গত ১০ বছরে সুইস ব্যাংকে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রতি পদে পদে দুর্নীতি করছে। দুদক কোনো মামলা বা কোনো তদন্ত করেনি। অথচ দুদক পড়ে আছে আমাদের পেছনে। তিনি আরও বলেন, ‘গত সাত বছরে ব্যাংক থেকে চুরি হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা কারসাজি করে পাচার করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো নিয়ে কোনো তদন্ত হয় না। কাউকে ধরা হয়নি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু ভোটারবিহীন সরকারের সমস্যা নয়, এটা আন্তর্জাতিক সমস্যা। তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইন্ডিয়া, চীনসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
No comments:
Post a Comment